শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

বসন্তে এক অন্যরকম হাবিপ্রবি

Reading Time: 2 minutes

মুরাদ হোসেন,হাবিপ্রবি দিনাজপুর:
মৃদু ঠান্ডা, শীত যায় যায় ভাব। চারদিকে ফুলের সমারোহ। বাতাসে মিষ্টি গন্ধ, ফুলের সুবাস মন মাতিয়ে তোলে। এখন বসন্তকাল। ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের কোল ঘেষে গড়ে ওঠা চিরসবুজ ক্যাম্পাস হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশি বিদেশি কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে উত্তরবঙ্গের প্রথম এ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি। শীতের কুয়াশা থেকে বেরিয়ে এসে বসন্তের ছোঁয়ায় প্রকৃতির সজীবতার সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠছে প্রাণচঞ্চল।
সাজানো গোছানো এ ক্যাম্পাসটি প্রতিটি ঋতুতে প্রাকৃতিকভাবে ভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়। তবে বসন্ত এলে তা যেন রুপ নেয় অন্য রকমভাবে। চারিদিকে নানান ফুল মুগ্ধতা বাড়ায় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরিন সৌন্দর্যের। সবুজ ক্যাম্পাসের লাল ইটে গড়া ভবনের সামনে দ্যুতি ছড়াচ্ছে রঙ-বেরঙের বাহারি ফুল। হৃদয়কাড়া ফুলের মন মাতানো সৌরভ আর স্নিগ্ধতায় মুগ্ধ সবাই।

ফুলের সৌন্দর্য ব্যঞ্জনায় যেন স্বর্গীয় রূপ ধারণ করেছে হাবিপ্রবি ক্যাম্পাস। গোলাপ, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, ক্যালেন্ডোলা, জুঁই, চামেলি, টগর, বেলি, রঙ্গনসহ নানা জাতের প্রায় অর্ধশত ধরনের ফুল ফুটেছে এই ক্যাম্পাসে। হাবিপ্রবির প্রধান ফটক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, একাডেমিক ভবন সমূহ, প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন ও হল সমূহ সহ রাস্তার আশেপাশে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে এসব ফুল।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তেই প্রতিবছর বসন্ত ঋতুর পূর্বেই লাগনো হয় এসব ফুলের চারা। তবে ব্যক্তি এবং সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও লাগানো হয় ফুল এবং ফলজ চারাগাছ। বছরের অন্যান্য সময়েও দেখা মিলে কয়েক প্রজাতির ফুলের। তবে বসন্তের মতো চাহনি অন্য সময়ে দেখতে পাওয়া যায় না।

প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্য উপভোগ শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই, দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ঘুরতে আসছেন। বাসন্তী রঙে সজ্জিত এ ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী, শিক্ষার্থীরা এসব ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন। এই মনোরম দৃশ্যকে আরো মায়াবী করে তোলে নবনির্মিত সাদা কমলা রঙের দশতলা একাডেমিক ভবন।
ক্যাম্পাসের প্রকৃতি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে প্রাকৃতিক ফুলের সমারোহ বেশি।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত নতুন নতুন ফুলের বাগান তৈরি করে ক্যাম্পাসকে আরও সজ্জিত করা।
সারাদিনের ব্যস্ততা কাটিয়ে অথবা পড়াশোনার ফাঁকে একটুখানি বিরতির ছলে ক্যাম্পাসের ফুলগুলোর কোমল স্পর্শ এনে দেয় স্বস্তি আর নতুন রুপে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার অব্যর্থ অনুপ্রেরণা। ফুলে ফুলে সুবাসিত থাকুক প্রিয় এ ক্যাম্পাসটি।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com